ধর্মেন্দ্রর জন্মদিন কিন্তু হিন্দি সিনেমার দর্শকরা তার চলচ্চিত্র যাত্রা মনে রাখতে পছন্দ করেন। তার অভিনয়ের শেডগুলো এক জায়গায় হওয়া উচিত বলে মনে করেন। প্রায় ছয় দশকের যাত্রার রঙগুলোকে যখন এক সমতলে আনার চেষ্টা করা হয়, তখন প্রতিবারই যে রঙগুলোকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং একে অপরের বিপরীত বলা যায়, সেগুলো এক জায়গায় জমে যায়। তারপর যে ইমেজ তৈরি হয় তার নাম ধর্মেন্দ্র।
একজন অভিনেতার কাজ হল বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করা। শুধু হিন্দি কেন, বেশিরভাগ জায়গায় দর্শকরা তাদের কল্পনার দৃঢ় থেকে তাদের প্রিয় অভিনেতাদের দেখতে চায়। তাও দেখা যাক। এই কারণেই যারা ধর্মীয় পৌরাণিক চরিত্রে অভিনয় করেন তাদের অনেকেই পরবর্তীতে এক টন চলচ্চিত্র এবং ভূমিকা পান। ধর্মেন্দ্রর অভিনয় যাত্রায় এই সমস্ত মিথ ভেঙে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। সে যাই হোক, যুগ যুগ ধরে রুপালি পর্দায় মানুষের ইচ্ছা-আকাঙ্খার কণ্ঠস্বর থাকত। ধর্মেন্দ্র এক প্রজন্মের কোনো নায়ক নেই। তার প্রথম ছবি মুক্তির বছরে জন্ম নেওয়া মানুষরা যদি চাকরিতে থাকতেন, তাহলে এতক্ষণে অবসরে চলে যেতেন। তবু মনে আছে, বিনোদ খান্না, কবির বেদী, ফিরোজ খানের মতো সব অভিনেতা থাকা সত্ত্বেও শহর, গ্রামে, ছোট ছোট জায়গায় সে যুগের বহু যুবক আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মধ্যে ধর্মেন্দ্রকে খুঁজতেন। এমনকি যারা আখড়ায় রিয়াজ করে শরীর তৈরি করেন, তাদের মধ্যে অন্য সব অভিনেতার তুলনায় কেবল ধর্মেন্দ্রেরই গ্রহণযোগ্যতা ছিল।
সত্যকামের প্যাটার্ন
অনেক দর্শক এবং সমালোচক আছেন যাদের দৃষ্টিতে ‘সত্যকাম’ ছবিটি ধর্মেন্দ্রের চলচ্চিত্র যাত্রার একটি দুর্দান্ত উদাহরণ। ১৯৬৯ সালে আসা এই ছবির সময়টা বোঝা দরকার। আমাদের হাতে সরকার আসার মাত্র ২২ বছর পেরিয়েছে। তাকওয়া, পারিবারিক পবিত্রতা ও শ্রেষ্ঠত্বের যথেষ্ট পরিমাণে অহংকার ছিল। নতুন চেতনা ও চিন্তারও উদ্ভব হয়েছিল।
রোমান্টিক নায়কের যুগ
জীবনের মাটিতে সংগ্রাম করা এই অভিনেতা যখন তার প্রথম চলচ্চিত্র থেকে রূপালি পর্দায় রোমান্স শুরু করেছিলেন, তখন তাকে রাজেশ খান্নার চেয়ে কম দেখাচ্ছিল না। এমনকি শর্মিলা ঠাকুর, তনুজা, বৈজয়ন্তীমালার মতো নায়িকাদের সঙ্গেও তার জুটি দর্শকদের খুব পছন্দ হয়েছিল। এই তালিকায় রাখি, আশা পারেখের মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের নামও উল্লেখ করা প্রয়োজন। বৈজয়ন্তী মালার সাথে ‘পেয়ার হি পেয়ার’ সিনেমার গানটি তখনকার মতোই নতুন শোনাচ্ছে – ম্যায় কাহিন না বান জাওঁ তেরে প্যায়ার মে আয়ে কবিতা…।
অভিনেতা ধর্মেন্দ্র তার ব্যক্তিগত জীবনেও তেমন কিছু রোমান্টিক ছিল। খুব অল্প বয়সে প্রথম বিয়ের পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন হেমা মালিনীকে। পরে মীনা কুমারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়। এমনকি 1983 সালে ‘নৌকার বিবি কা’ ছবির পরেও ধর্মেন্দ্রের নাম অনিতা রাজের মতো সেই যুগের নতুন নায়িকার সঙ্গেও যুক্ত হয়েছিল।
বিদ্রোহ এবং বিদ্রোহ
‘সত্যকাম’-এর মতো ছবিতে উচ্চ আদর্শ ও চেতনার চরিত্রে অভিনয় করা ধর্মেন্দ্র অনেক বিদ্রোহী ভূমিকাও করেছিলেন। তার অভিনয়ের এই দিকটিও অবিস্মরণীয়। ছবি হোক, আমার দেশ, আমার গ্রাম বা শোলে। এই ছবিতে ধর্মেন্দ্র যে ধরনের চরিত্রে বেঁচে ছিলেন তা দেখতে দর্শকরা আনন্দের সাথে আবারও ছবিটি দেখতে যেতে পারেন।
আসলে, ধর্মেন্দ্রর যুগের অনেক অভিনেতারই নিজস্ব ব্যাপ্তি ছিল। একই চরিত্রে তিনি মানানসই হতেন। কেউ ছিলেন রোমান্সের রাজপুত্র, কেউবা অ্যাকশনের। কাউকে আবেগ ও ট্র্যাজেডি রাজার রাজ্যে স্থাপন করা হয়েছিল। এটা বললে ভুল হবে না যে অনেক অভিনেতা নিজেরাই একই চরিত্র বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ধর্মেন্দ্র কোন বাধা নেই, সুযোগ নেই। নিজের মতো করে অভিনয় করে চলেছেন এবং আজও জীবনযাপন করছেন। তিনি হোটেল মালিকের চরিত্র খুব কমই করেছেন, তবে এটি তাঁর জীবনযাত্রার ধরণ যে বিশেষত হিন্দিভাষী অঞ্চলে, অনেক হোটেল এবং ধাবা থেকে রাস্তার বিক্রেতাদের নাম ‘গরম ধরম’ পাওয়া যাবে।
প্রথমে হিন্দি News18 হিন্দিতে ব্রেকিং নিউজ পড়ুন| আজকের সর্বশেষ খবর, লাইভ খবর আপডেট, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হিন্দি সংবাদ ওয়েবসাইট News18 হিন্দি পড়ুন।
ট্যাগ: ধর্মেন্দ্র, বিনোদন বিশেষ, বিনোদন থ্রোব্যাক
প্রথম প্রকাশিত: ডিসেম্বর 08, 2022, 08:00 IST
Source link