অক্ষয় তৃতীয়ার দুপুরে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন, মানুষের ঢল
সারা বাংলা ডেস্ক: অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে দিঘায় প্রভু জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠা ও সুবিশাল জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন হল। তার পরই জনগণের উদ্দেশে খুলে দেওয়া হল মন্দির। প্রথম দিনেই ভিড় করলেন বহু মানুষ। ভিন রাজ্য থেকে এদিনই বহু মানুষ আসতে শুরু করেছেন। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। যাঁরা মন্দিরে প্রবেশ করবেন তাঁদের দেওয়া হবে গামছা। আনা হয়েছে মোট ২২ হাজার গামছা। বসার জন্য চেয়ার ও কার্পেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ক’দিন ধরে হয়েছে সম্পূর্ণ শাস্ত্রীয় রীতি মেনে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার মহাযজ্ঞের শেষ পর্বে পুর্ণাহুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই অনুষ্ঠানে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বছর সাতেক আগে এই সমুদ্রসৈকতেই হাঁটতে হাঁটতে ভেবেছিলেন জগন্নাথ মন্দির স্থাপনের ভাবনা এসেছিল তাঁর মনে। এদিন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত শিল্পী, পুরোহিতবৃন্দ, সন্ন্যাসী, তারকা এবং স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি যাঁরা এই মন্দির তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, সেই সব স্থপতি এবং শ্রমিকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি মনে করি, এই মন্দির আগামী হাজার হাজার বছর ধরে তীর্থস্থান এবং পর্যটনস্থল হিসাবে উন্মাদনার প্লাবন তৈরি করবে। এই মন্দির সকলের জন্য।” তিনি এও বলেন, “প্রত্যেকেই আমাদের অতিথি। ধর্ম কখনও মুখে প্রচার করে হয় না। ধর্মে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার জিনিস। আস্থা-বিশ্বাস-ভালোবাসাই ধর্ম। মা-মাটি-মানুষ ভালো থাকলে আমি ভালো থাকব। তাই সকলের হয়ে প্রার্থনা করছি।” রাজ্যের মানুষ প্রভুর পুজোর প্রসাদ পাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সকলেই ভোগ পাবেন। গজা, প্যারা, খাজার দোকান হচ্ছে। মন্দিরের ছবি, প্রসাদ সারা বাংলায় পৌঁছে দেওয়া হবে। গোটা দেশে যাঁরা ভালোবাসেন তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।”
দিঘার এই নাটমন্দিরটি দাঁড়িয়ে রয়েছে ১৬টি স্তম্ভের উপরে। নিমকাঠের তৈরি মূল বিগ্রহের পাশাপাশি পাথরের মূর্তিও রয়েছে। রয়েছে ভোগমণ্ডপ, নাটমন্দির, জগমোহন এবং গর্ভগৃহ। ভিতরে সিংহাসনে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা অবস্থান করছেন।