Ekchokho.com 🇮🇳

প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে মাধ্যমিকে সফল জঙ্গলমহলের সীমা

Published on:

সারা বাংলা ডেস্ক: শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে মাধ্যমিকে সফল খান্ডারীডাঙার আদিবাসী সম্প্রদায়ের হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে সীমা মাড্ডি। জন্ম থেকেই সীমার দুটি হাত অসাড়। তবু পড়াশুনার প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা পেরিয়ে মানকর গার্লস স্কুলে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হয়েছিল সীমা। পায়ে লিখে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সীমা। শুক্রবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়। সেখানেই দেখা যায় সীমা মাধ্যমিকে ২৩২ পেয়ে পাস করেছে। আগামী দিনে সে আরও পড়তে চায়। সীমা জানান, উচ্চশিক্ষা লাভ করতে চাই। যদিও সীমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। সীমার বাবা বুদি মাড্ডি দিনমজুর। কোনদিন কাজ থাকে কোনদিন থাকেনা। কষ্ট করেই সংসার চলে তাঁদের। জন্মের সময় মেয়ের প্রতিবন্ধকতা দেখে কেঁদেছিলেন। সীমা এতদূর পড়াশুনা করতে পারবে এটা তিনি ভাবেননি। তবে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হওয়ার পর তিনি আনন্দিত। তবে উচ্চশিক্ষার জন্য অর্থের সংস্থান কিভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বুদিবাবু।
সীমার মাধ্যমিক পাসের খবর শুনে তাই খান্ডারিডাঙা নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের শিক্ষক তরুণ ঘোষ উচ্ছ্বসিত। তাঁদের স্কুল থেকেই সীমা প্রাথমিক পর্বে পড়াশোনা করেছে। আগামীতে সীমা উচ্চতর শিক্ষা লাভ করুক এমনটাই চাইছেন তাঁরা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাধ্যমিকে উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল ছাত্রছাত্রীকে জানাই আমার আন্তরিক অভিনন্দন! আগামী দিনে তোমরা আরও সফল হবে, এই প্রত্যাশা রাখি। তোমাদের জীবনের এই স্মরণীয় দিনে আমি তোমাদের বাবা-মা, অভিভাবক-অভিভাবিকা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। তাঁদের সমর্থন ও পথনির্দেশই তোমাদের এই সাফল্যকে সম্ভব করে তুলেছে।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরে ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা। ২২ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় পরীক্ষা। এ বার রাজ্যে মোট ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৯৪ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। পশ্চিমবঙ্গে মোট ২ হাজার ৬৮৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।