ভারতের প্রত্যাঘাতে ‘সিদুঁর’ নাম কেন?
সারা বাংলা ডেস্ক: পহেলগাঁও গণহত্যার হত্যালীলায় জোরদার প্রত্যাঘাত নিল ভারত। নিখুঁত লক্ষ্যে ৯ জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের আকাশসীমা অতিক্রম না করেও নিখুঁত লক্ষ্য আঘাত হেনেছ ভারতের রাফাল জেট। জয়েশ, লস্কর জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তিনি এও বলেছিলেন, শুধুই পহেলগাঁওতে হামলা চালানো জঙ্গিরা নয়, তার পিছনে থাকা মূল চক্রীদেরও ছাড়া হবে না। সেই মতো মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। স্থল, বায়ু ও নৌসেনার মিলিত অভিযান ছিল এটি। যাতে এখনও পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি জঙ্গির মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, কোটলি, গুলপুর, সাওয়াই, সরজল, বারনালা, মুজ্জফরাবাদ ও মেহমুনাতে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারত।
বুধবার সকালে ভারতীয় সেনার এই সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি, উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ। কী ভাবে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে করে ধ্বংস করা হয়েছে সাংবাদিক বৈঠকে তার ব্যাখা করেন তাঁরা। তবে প্রত্যাঘাতের নামে কেন ‘সিঁদুর’ রাখা হল তা নিয়ে প্রশ্ন করছেন অনেকেই। সেনা সূত্রের খবর, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে সায় দিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অভিযোগ, জঙ্গিরা ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে বেছে বেছে গুলি করেছিলেন পর্যটকদের। নিহতদের অধিকাংশই স্ত্রী-পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন। স্ত্রীদের সামনেই তাঁদের স্বামীকে খুন করা হয়। হামলার এই ধরনের কারণে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আসলে হিন্দু নারীদের কাছে এই সিঁদুর বিয়ের চিহ্ন, স্বামীর কল্যাণের প্রতীক। পরিবারের পুরুষ সদস্যদের হত্যা করে সেই নারীদের সিঁথির সিঁদুরই মুছে দেয় জঙ্গিরা। হিন্দিতে সিঁদুরকে বলা হয় সিন্দুর। তাই ভারতীয় সেনার এই অভিযানের নাম ‘OPERATION SINDOOR’।
ভারতের প্রত্যাঘাতে ‘সিদুঁর’ নাম কেন?
Published on:
