সারা বাংলা ডেস্ক: দেশের প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে ভারতে থাকা প্রতিটি পাকিস্তানিকে চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পরই ভারত আর্টারি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে ভারতে আসা পাক নাগরিকগদের ভিসা। দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে তাঁদের। ২৭ এপ্রিল থেকে ভারতে থাকা পাক নাগরিকদের সমস্ত রকম ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এরই মধ্যে এমন নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার দেশের সব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন শাহ। সেখানেই রাজ্যে কোনও পাকিস্তানের নাগরিক আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু দেখা নয় শনাক্ত করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে হবে। যদিও এই কথোপকথনের বিষয়ে কেন্দ্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁওতে পর্যটকদের হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তেতে উঠেছে গোটা দেশ। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে জঙ্গি হামলা হয়। অভিযোগ, হিন্দু পরিচয় জেনে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৬ জন পর্যটককে। এই হামলার দায় পাকিস্তানের উপরই দিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি আমেরিকা, ইটালি, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চিনের বিদেশি কূটনীতিককে এই ঘটনায় পাকিস্তানের যোগের প্রমাণ দেখান। এই আবহে পাল্টা জবাব দিতে তৈরি হচ্ছে ভারত। বিহারের মধুবনীর সভা থেকে জঙ্গি নিধনে হুংকার দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বলেন, “পহেলগাঁওয়ে হামলা ভারতের আত্মায় আঘাত। কল্পনাতীত শাস্তি দেওয়া হবে।” এদিকে খোদ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ কার্যত স্বীকার করে নিলেন যে, গত তিন দশক ধরে জঙ্গিদের সমর্থন এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইসলামাবাদ। একটি সাক্ষাৎকারে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা বলেন, “আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ পশ্চিমি বিশ্বের জন্য আমরা গত তিন দশক ধরে এই নোংরা কাজ করে যাচ্ছি।” তবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে ওই পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারতকে দুষেছেন। তাঁর মতে, পাকিস্তান এবং গোটা অঞ্চলে ভারত সমস্যা তৈরি করতে চাইছে।
পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের
Published on:
