Ekchokho.com 🇮🇳

তীব্র তাপপ্রবাহে বন্যপ্রানীদের দেওয়া হচ্ছে ওআরএস

Published on:

সারা বাংলা ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বিশেষ করে রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। এই অবস্থায় নিজেকে সুস্থ রাখতে রীতিমত সমস্যায় করতে হচ্ছে মানুষজনকে। তীব্র তাপপ্রবাহ কিভাবে বন্যপ্রাণীদের সুস্থ রাখা যায় সে বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিল বনবিভাগের বর্ধমান ডিভিশনের দুর্গাপুর রেঞ্জ। কাঁকসা দেউল এলাকাতে হরিণ ও ময়ূরের সংরক্ষিত এলাকায় পানীয় জলের সাথে মেশানো হচ্ছে ও আর এস। দেওয়া হচ্ছে কাঁচা সবজি।

কাঁকসার গৌরাঙ্গপুর মৌজায় বাম আমলে বন দফতরের তরফে হরিণ ও ময়ূরের জন্য একটি সংরক্ষিত এলাকা গড়ে তোলা হয়। বর্ধমান ডিভিশনের দুর্গাপুর রেঞ্জের শিবপুর বিটের অন্তর্গত এই এলাকায় বর্তমানে ১২০টি হরিণ রয়েছে। ময়ূরের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরের সঠিক সংখ্যাটা বলা না গেলেও, সংরক্ষিত এলাকা ছেড়ে জনবসতির মধ্যেও ময়ূর দেখা যাচ্ছে। তবে সমস্যা তৈরি করেছে এই গরম। গত কয়েকদিন ধরে কাঁকসা এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। জনজীবনের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীদের উপরও এই গরমের প্রভাব পড়তে পারে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর এখনও পর্যন্ত সেভাবে বৃষ্টিপাত হয়নি। গাছের নতুন পাতা বা জঙ্গল ঘন হতে শুরু হয়নি। এই অবস্থায় ঘাসের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেদিকে নজর রেখে টাটকা আনাজ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে গাজর সহ নানা টাটকা আনাজ দেওয়া হচ্ছে। দিনে দুবার খাবার দেওয়া হচ্ছে বন কর্মীদের তরফে। প্রতদিন প্রায় ২০ কেজি করে আনাজ দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও তাপপ্রবাহের হাত থেকে হরিণ, ময়ূরকে রক্ষা করতে বন্যপ্রাণীদের খাবারের জলে ওআরএস ও গ্লুকোজ দেওয়া হচ্ছে। বন দফতরের দুর্গাপুরের রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পশু চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রতিদিন ২০ প্যাকেট ওআরএস পানীয় জলে মেশানো হচ্ছে। সংরক্ষিত এলাকায় বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে বন্যপ্রাণীদের জল খাওয়ার জন্য। সেসব জায়গায় ওআরএস মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, গরম না কমা পর্যন্ত এই কাজ চলবে। বন্যপ্রাণীদের মূলত গরমের সময় খাবারের সমস্যা হতে পারে। সেকারণে প্রতিবছর গরমের সময় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এগুলি ছাড়াও আখের গুড়, ভেজানো ছোলা, বিট লবন, ভূষিও দেওয়া হচ্ছে। বিভাগের বর্ধমান ডিভিশনের ডিএফও সঞ্চিতা শর্মা বলেন, বন্যপ্রাণীদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছর দেউল এলাকায় এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।