Ekchokho.com 🇮🇳

তৃণমূল কর্মীর হাতে নিগৃহীত অধ্যক্ষ! অপমানে চাকরি ছাড়তে চান।

Published on:

তৃণমূল কর্মীর হাতে নিগৃহীত অধ্যক্ষ! নদীয়ার চাপড়া থানা এলাকার ঘটনা।

 

 

সারা বাংলা ডট ইন ডেস্ক: কলেজের অধ্যক্ষ নিগৃহীত হলেন এক তৃণমূল কর্মীর হাতে। পরিবেশ সচেতনতার কাজ করতে গিয়ে হেনস্থা শিকার অধ্যক্ষ! অপমানিত হয়ে ওই অধ্যক্ষ ফেললেন কেঁদে। অন্যত্র বদলি নিয়ে নেবেন বা দরকারে চাকরি ছেড়ে দেবেন।

নদিয়ার চাপরা জেনারেল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শুভাশিস পাণ্ডে। বৃহস্পতিবার তিনি নদিয়ার চাপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী অজয় ঘোষের বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষ জানান, পরিবেশ রক্ষার উপরে তিনি মূলত কাজ করেন। তিনি গবেষণা করছেন বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য নিয়ে। চাপড়া থানা এলাকার রাজ্য সড়কে তিনি দেখেন একাধিক নয়ানজুলি আর ঝোপঝাড় নেই। সেসব জায়গা ভরাট করে চলছে দোকান ঘর তৈরি। পরিবেশ রক্ষার জন্য মানুষের সচেতনতা বাড়াতে সেখানে তিনি একটি বোর্ড লাগিয়ে দেন। তবে কিছুদিন পরেই তিনি দেখেন, তাঁর লাগানো বোর্ডটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এগুলি মেরামত করতে বৃহস্পতিবার তিনি ওই এলাকায় যান। আর তখনই অজয় ঘোষ অধ্যক্ষকে হেনস্তা করে বলে অভিযোগ। তাঁকে মারধর করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা শুভাশিসকে উদ্ধার করে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই তিনি চাপড়া থানাতে লিখিত অভিযোগ করেন অজয়ের বিরুদ্ধে। এই অজয় চাপরা হাটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের ভাই বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

অভিযোগ করার পর থানা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধ্যক্ষ বলেন, “বিভাগকে বলব, আমাকে ট্রান্সফার করে দিন যে কোনও জায়গায়। আমি ট্রান্সফার নিয়ে নেব। তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে চাকরিটাই ছেড়ে দেব। যেভাবে আমাকে মারধর করা হয়েছে তাতে এই কলেজে আমি কিছুতেই আর কাজ করতে চাই না।” এদিকে অভিযুক্ত অজয় অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমার মানসিক অবস্থা সে সময় ভালো ছিল না। সেখানে যদি নিজের বাবাও থাকতো আমি তাকেও মারতাম। খুব রেগে গিয়েছিলাম আমি। মাথায় রক্ত উঠে গিয়েছিল। পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। নিজের অন্যায় আমি স্বীকার করে নিচ্ছি।”