জলন্ধরে হুঙ্কার মোদির
সারা বাংলা ডেস্ক: সোমবারের পর মঙ্গলবারও সেনার ভূয়সী প্রশংসা করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন পাঞ্জাবের জলন্ধরের আদমপুরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে গিয়েই সেনাদের ধন্যবাদ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, ‘এর পরও যদি কোনও জঙ্গি হামলা হয়, এর থেকে আরও বড় জবাব পাবে ওরা। ওদের শয়তানি, দুঃসাহসের উপযুক্ত জবাব দেওয়া গিয়েছে। আমরা ঘরে ঢুকে মারতে পারি, পাকিস্তানকে এই বার্তাই দিয়েছি। ভারতের দিকে নজর দেওয়ার একটাই পরিণাম, সেটা হল বিনাশ। আমাদের ড্রোন ও মিসাইল দেখে পাকিস্তানের ঘুম উড়েছে। ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে ভয় পেয়েছে পাকিস্তান। আমরা ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের মারব, বাঁচার কোনও সুযোগই দেব না।’ এর আগে অপরেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুরুতেই স্যালুট জানান ভারতের সেনা, সশস্ত্র বাহিনী, একাধিক এজেন্সি এবং দেশের বিজ্ঞানীদের। বলেন, “আমাদের দেশের মা-বোনেদের মাথার সিঁদুর মুছলে কতখনি দাম দিতে হয়, আজ তা বুঝে গিয়েছে গোটা বিশ্বের উগ্রপন্থীরা। জঙ্গিরা স্বপ্নেও ভাবেনি ভারত এত বড় পদক্ষেপ করবে।” তিনি জানান, ‘স্টেট স্পনসর্ড টেররিজ়ম’-এর বড় উদাহরণ পহেলগাঁও কাণ্ড। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ হাতিয়ার তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। আমাদের সেনাবাহিনী সর্বদা সতর্ক। কোনও ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল’ ভারত সহ্য করবে না। উল্লেখ্য, পাক সেনা দাবি করেছিল, তাদের হামলায় জলন্ধরের আদমপুরের বায়ুসেনার ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই কথার সত্যতা একেবারেই নেই। তা প্রমাণ করতেই আজ, মঙ্গলবার আদমপুরের বায়ুসেনার ঘাঁটিতে যান মোদি।
ইতিমধ্যেই ভারত আর পাকিস্তান সব ধরনের সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানিয়েছিলেন, শনিবার দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিটে ভারতীয় সেনার ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন (ডিজিএমও)-কে ফোন করেন পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন (ডিজিএমও)। তার পর দু’পক্ষই গোলাগুলি এবং সামরিক অভিযান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন তিনি। বিদেশসচিবের এই সাংবাদিক বৈঠকের কিছুক্ষণ আগে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, দুই দেশের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। সেখান থেকেই দুই দেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হওয়ায় দুই দেশকেই ধন্যবাদ। তিনি লেখেন, ‘‘বাস্তবজ্ঞান এবং অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার সদ্ব্যবহার করার জন্য দুই দেশকে অভিনন্দন। এই বিষয়ে (যুদ্ধবিরতি) মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ!’’