সারা বাংলা ডেস্ক: পাকিস্তানের পাক সেনার মুখপাত্র ভারতকে হুমকি দিল সিন্ধু জবন্টন চুক্তি নিয়ে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে পাক সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধরী বলেন, “আপনারা যদি আমাদের জল আটকে দেন, তা হলে আমরা আপনাদের নিঃশ্বাস আটকে দেব।” তবে এই বিষয় নিয়ে শুধু পাক সেনার মুখপাত্র নয় একই কথা শোনা গিয়েছিল লস্কর- ই- তাইবার প্রধান হাফিজ সইদের মুখেও। একই ভাষাতে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছিল হাফিজকে। হাফিজের মুখে ভারত ও আমেরিকার বিরুদ্ধে আগেও প্ররোচনামূলক বিভিন্ন রকম মন্তব্য শোনা গিয়েছিল। তবে পাক সেনা মুখপাত্র ও হাফিজের বক্তব্য হুবহু মিলে যাওয়ায় সেনা ও জঙ্গি আঁতাতের প্রমাণ ফের একবার মিলে গেল বলে ভারতের অনেকে মনে করছেন।
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার এক মাস পূর্ণ হল বৃহস্পতিবার। গত ২২ এপ্রিল সেখানে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরপরই ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি স্থগিত করে দেয় ভারত। এই জল বন্টন চুক্তি হল, সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির জল দুদেশের মধ্যে কিভাবে বন্টন করা হবে তা নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৬০ সালে দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছিল বিশ্ব ব্যাংক। চুক্তি অনুযায়ী, জল ধরে রাখা এবং পরিমাণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে দেওয়ার কথা দুই দেশের। কিন্তু পহেলগাঁও কান্ডের পর ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, রক্ত এবং জল একসঙ্গে বইতে পারে না। এই ঘোষণার ফলে কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তান কিছুটা সমস্যায় পড়ে যায়। এরই মধ্যে ‘অপারেশন সিঁদুর’অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের বেশকিছু জঙ্গিঘাঁটি নষ্ট করেছে ভারত। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চললেও সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি পুনরায় কার্যকর করার কথা জানায়নি ভারত।
তবে সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি নিয়ে পাক সেনার এই হুমকি অবশ্য প্রথম নয়। জঙ্গি থেকে রাষ্ট্রনেতা বারবার এই বিষয়ে ভারতকে হুমকি দিয়েছে। কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের শাসক জোটের সহযোগীর পাকিস্তান পিপলস পার্টি নেতা বিলাবল ভুট্টো জারদারি বলেছিলেন, “সিন্ধু আমাদের। হয় সিন্ধু নদ দিয়ে আমাদের প্রাপ্য জল আসবে, নয়তো সিন্ধু দিয়ে ওদের (ভারতীয়) রক্ত বইবে”। এবার ওই একই রকম হুঁশিয়ারি দিলেন পাক সেনার মুখপাত্র। যদিও এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।