Ekchokho.com 🇮🇳

গরুমারা জঙ্গলে অশনি সংকেত! কড়া নজরদারি বন বিভাগের।

Published on:

গরুমারায় চোরাশিকারের হুমকি! গন্ডার রক্ষায় বন বিভাগ উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে

 

সারা বাংলা ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের গর্বের প্রতীক গন্ডার। সেই গন্ডারের শিংয়ের উপর কুনজর থাকে চোরা শিকারিদের। কয়েকদিন আগেই আসামের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে চোরা শিকারীদের সাথে সংঘর্ষ হয় বন কর্মীদের। সেখানে ব্যর্থ হওয়ার পর গরুমারা জঙ্গলে গন্ডারের উপর হামলা হতে পারে এই আশঙ্কা করে কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন বনবিভাগের কর্মীরা।

গরুমারায় চোরাশিকারিদের ছায়া নেমে এসেছে, যা এই অঞ্চলের এক শিংওয়ালা গন্ডারের জন্য সম্ভাব্য হুমকির আশঙ্কা তৈরি করেছে। এলাকায় চোরাশিকারিরা গন্ডারকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের পর, বন বিভাগ নিরাপত্তা জোরদার করেছে এবং উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।

আসামের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে সম্প্রতি এক সংঘর্ষের পর এই সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে, যেখানে বন কর্মকর্তাদের সাথে সংঘর্ষে একজন চোরাশিকারি নিহত হয়েছে এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আসামে ব্যর্থ হওয়ার পর, চোরাশিকারিরা গরুমারা বা জলদাপাড়াকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর চেষ্টা করতে পারে, যার ফলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গরুমারার বিভাগীয় বনাধিকারী (ডিএফও) দ্বিজপ্রতিম সেন বলেন, “আমরা ২৪ ঘন্টা নজরদারি বজায় রাখছি। বনরক্ষী, পুলিশ, প্রশিক্ষিত স্নিফার কুকুর অরল্যান্ডো এবং কুঙ্কি হাতি সকলেই অনুসন্ধান অভিযানে জড়িত।” সম্প্রতি, গরুমারার দক্ষিণ রেঞ্জের বন কর্মকর্তারা, পুলিশ এবং স্নিফার কুকুর অরল্যান্ডোর সাথে, নিকটবর্তী বন বসতিগুলিতে অভিযান চালিয়েছেন। স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে যে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ অবিলম্বে পুলিশ বা বন কর্তৃপক্ষকে জানাতে।

সহকারী বিভাগীয় বনাধিকারি (ADFO) রাজীব দে আরও বলেন, “আমরা কুঙ্কি হাতি ব্যবহার করে বনের গভীরে প্রবেশ করছি। সন্দেহজনক আচরণ করলে যে কারও বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” গরুমারার জিরোবান্ধ এবং রামশাই চর এলাকায় বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বন বিভাগের রেকর্ড অনুসারে, ২০১৭ সালে গণ্ডার হত্যার ঘটনার সময় চোরাশিকারিরা এই অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করেছিল। সেই কারণে এই দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়দের মতে, গণ্ডার কেবল একটি বন্য প্রাণী নয়, উত্তরবঙ্গের জন্য গর্বের প্রতীক। বন কর্মকর্তারা এই ঐতিহ্য রক্ষার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। এই লড়াইয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।