দিঘার জগন্নাথ ধামের প্রসাদ বিলি ঘিরে সম্প্রীতির নজির কাঁকসায়।
সারা বাংলা ডট ইন ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় সময়েই সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর শোনা যাচ্ছে। প্রাণহানি থেকে ভাঙচুরের ঘটনায় সরগরম রাজ্যের বেশকিছু জায়গা। ঠিক সেই সময়েই দিঘার জগন্নাথ ধামের প্রসাদ বিলিতে দেখা গেল সম্প্রীতির চিত্র। মঙ্গলবার কাঁকসার রথতলা এলাকার রেশন দোকানে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে প্রসাদ গ্রহণ করলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। আর প্রসাদ নেওয়ার সাথে সাথে সজোরে জয় জগন্নাথ বলে উঠলেন। আর সেই প্রসাদ বিলিতে ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটাই আমাদের বাংলার চিত্র।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘার জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের পরেই ঘোষণা করেন, রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে জগন্নাথ ধামের প্রসাদ পৌঁছে দেওয়া হবে। রেশন দোকানের মাধ্যমে সেই প্রসাদ বিলি করা হবে। ইতিমধ্যে রাজ্য জুড়ে সেই কাজ শুরু হয়েছে। একই ভাবে কাঁকসা ব্লকেও রেশন দোকানে প্রসাদ বিলি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার কাঁকসার রথতলা এলাকার রেশন দোকানে প্রসাদ বিলির করা হয়। সেখানেই দেখা গেল এক অন্য চিত্র। এলাকার হিন্দু বাসিন্দাদের সাথে প্রসাদ নেওয়ার লাইনে দেখা গেল মুসলিম সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে। রাজবানু বিবি নামের ওই মহিলা ভক্তিভরে প্রসাদের প্যাকেট গ্রহন করেন। সেই সঙ্গে জয় জগন্নাথ ধ্বনিও উচ্চারণ করতে থাকেন। আর এই দৃশ্য সম্প্রীতির চিত্র ফুটিয়ে তোলে।
এদিন ওই মহিলার হাতে প্রসাদের প্যাকেট তুলে দেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (শিক্ষা) বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ বানু বিবি বলেন, এদিন প্রসাদ দেওয়া হচ্ছে খবর পেয়েই আমি চলে আসি। বাড়িতে সবাইকে দেবো। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের রাজ্য সম্প্রীতির রাজ্য। এদিনের ছবি সেই কথায় আবার তুলে ধরলো। এদিন সঙ্গে ছিলেন সমাজসেবী পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, আমরা সবসময় প্রতিটি মানুষের পাশে থাকি। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। তাঁর দাবি, এদিনের চিত্র রাজ্যের সেই ছবি তুলে ধরেছে। কাঁকসা ব্লকে প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষের একসাথেই বসবাস। এই ছবি পুরো রাজ্যেই ফুটে উঠুক।