বদ্রিনাথে মিলল বাঙালি পর্যটকদের দেহ। মর্মান্তিক ঘটনা উত্তরাখন্ডে।
সারা বাংলা ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই উত্তরাখণ্ডে শুরু হয়েছে চারধাম যাত্রা। ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ মানুষ চারধাম যাত্রা শুরু করেছেন। এরই মধ্যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল বদ্রিনাথে। মঙ্গলবার বদ্রিনাথ থেকে ৩০ কিমি দূরে এক বাঙালি পর্যটকের দেহ উদ্ধার করেছে উত্তরাখন্ড পুলিশ। সেই পর্যটকের নাম প্রীতম মজুমদার (২৭)। তাঁর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বিজোনের এডিসন রোড এলাকায়।
উত্তরাখন্ড পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বদ্রিনাথের জাতীয় সড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে কাঞ্চননালা এলাকায় একটি পাইনবন জঙ্গলে প্রীতমের দেহ ঝুলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ যেখানে ঝুলছিল তার নিচে থেকে পোশাক, কাগজপত্র ও একটি মোবাইল উদ্ধার করেছে। এগুলি একটি ব্যাগের মধ্যে ছিল। উদ্ধার হওয়া নথি থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই যুবকের নাম প্রীতম মজুমদার। বাবার নাম প্রবীর মজুমদার। তিনি পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বাসিন্দা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। কিন্তু ওই বাঙালি পর্যটক কেন বদ্রীনাথ এসে আত্মহত্যা করল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই যুবকের সাথে আর কেউ ছিল কিনা তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তাছাড়া যেখানে দেহ পাওয়া গেছে তা জাতীয় সড়ক থেকে অনেকটাই দূরে। এই জায়গায় তিনি পৌঁছালেনই বা কি করে সবকিছুই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দুর্গাপুরের বিজোনের এডিসন রোডে নিজের মামার বাড়িতে থাকতো প্রীতম। সিটি সেন্টার এলাকার একটি শেয়ার ট্রেডিং সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ মে চাকরির বিষয়ে কথা বলতে কলকাতা যাবে বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়। ১১ মে পর্যন্ত ফোনে তাঁর সাথে কথা হয় পরিবারের। মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের পুলিশের কাছ থেকে প্রীতমের মৃত্যুর খবর পান তাঁরা। মৃতের মামা অতনু দাস এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘৪ মে চাকরির বিষয়ে কলকাতা যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বের হয়। মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের যোশিমঠের পুলিশ ওর দেহ উদ্ধার করে খবর দেয়। আমি যোশিমঠ যাচ্ছি। সেখানে গেলে অনেক কিছু পরিষ্কার হবে।’ এখন প্রশ্ন, ওই যুবক কাদের সাথে বা কার সাথে বদ্রিনাথ গেলেন? তিনি পরিবারকে কিছু কেন জানালেন না? সব বিষয় নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।