Ekchokho.com 🇮🇳

তৃণমূল কর্মীর জমি দখলের চেষ্টা দলেরই নেতাদের! অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় কাঁকসা।

Published on:

তৃণমূল কর্মীর জমি দখলের চেষ্টা দলেরই বেশ কয়েকজন নেতার! ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা এলাকায়।

সারা বাংলা ডেস্ক: এক তৃণমূল কর্মীর জমি দখলের অভিযোগ গ্রামেরই কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। কাঁকসা ব্লকের গোপালপুর পঞ্চায়েতের সারেঙ্গা গ্রামে এমন অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা অজয় লোহারের অভিযোগ, গ্রামের এই চার তৃণমূল কর্মী তাদের দীর্ঘদিনের পাট্টা পাওয়া জমিতে জোর করে রাস্তা তৈরি করতে চাইছেন। জেসিবি চালিয়ে নষ্ট করা হয়েছে জমির বহু ফসল। এ বিষয়ে কাঁকসা ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই ব্যক্তি। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির তরফে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

গোপালপুর পঞ্চায়েতের সারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা অজয় লোহার জানান, ১৯৮২ সালে তার পূর্বপুরুষ সারেঙ্গার প্রায় দু বিঘা জমি পাট্টা পেয়েছিলেন। গোপালপুর পঞ্চায়েতের কেশবপুর মৌজার ওই জমিতে চাষ করেই সংসার চলছিল তাঁর। জমিতে কিছু সবজিও লাগিয়েছিলেন। কিন্তু গত ১০ মে সারেঙ্গা গ্রামের কয়েকজন তৃণমূল নেতা তার জমির কাছে আসেন। ওই নেতারা জানান, তাঁদের জমির পিছন দিকে একটি বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা করা হবে। সেইমতো অজয়কে জমি দিতে হবে। অজয়ের অভিযোগ, তাঁরা এই জমিতে আনাজ চাষ করেন। সেখান থেকেই সংসার চলে তাদের। এই অবস্থায় জমি দিয়ে দিলে তাদের চরম সমস্যা তৈরি হবে। অজয় দাবি করেন, তৃণমূল নেতারা কোনও কথা শুনতে চাননি। জোর করে জমি দখলের চেষ্টা করেন। এমনকি বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আচমকা একদিন দেখি আমার জমিতে মাটি কাটার যন্ত্র চালিয়ে সব ফসল নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি আমরা। এই অন্যায় আমরা মেনে নেব না। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে কাঁকসা ব্লক প্রশাসনে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, আমরাও দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী। দলের কর্মীদের ওপরই যদি এমন অত্যাচার হয় তাহলে আমরা কোথায় যাব।

যদিও গোপালপুর পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির যে পরিমাণ জমি রাস্তার জন্য নেওয়া হত সেই পরিমাণ জমি অন্য জায়গায় দেওয়ার কথা বলা হয়। সেইমতো কাজ করা হয়। তবে কেউ জোর করে জমি নষ্ট করেনি। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, আমরা সব সময় দরিদ্র মানুষের পাশে রয়েছি। সারেঙ্গা তে কি ঘটেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। যদি এমন কেউ করে থাকে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিক। তবে পাশাপাশি তিনি জানান, বাম আমলে অনেক ভুয়ো পাট্টা দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়। এক্ষেত্রে কি হয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা দরকার। তবে ওই ব্যক্তির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে কাঁকসার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নবকুমার সামন্ত বলেন, ওখানে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র হওয়ার কথা। সেজন্য পঞ্চায়েতের তরফ থেকে জায়গা মাপা হয়। ওই ব্যক্তির সত্তর শতকের মধ্যে দশ শতক জায়গা প্রকল্পের জন্য নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ওই জমিরই পিছন দিকের জায়গা ওনাকে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।