পাঁচ বছর পর শুরু হল কৈলাস মানসরোবর যাত্রা।
সারা বাংলা ডট ইন ডেস্ক: পাঁচ বছর পর শুরু হচ্ছে কৈলাস মান সরোবর যাত্রা। ভারত থেকে সোমবার প্রথম দল রওনা দিল কৈলাসের উদ্দেশ্যে। এ বছর প্রথম সিকিমের নাথুলা হয়ে কৈলাস যাত্রা করা হচ্ছে। এদিন দিল্লি থেকে ৩৬ জন তীর্থযাত্রীর একটি দল সোমবার রওনা দিয়েছেন। সিকিমের ১৮ মাইল এলাকার বেস ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ওই তীর্থযাত্রীরা। আইটিবিপি তরফে পুরো যাত্রা সম্পর্কে তীর্থযাত্রীদের বোঝানো হয়েছে। এই দলের একজন সংযোগকারী অফিসার, রাঁধুনি, আইটিবিপি আধিকারিকেরা এবং চিকিৎসকরা পুরো যাত্রায় সঙ্গে থাকবেন।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের শেষবারের মতো ভারত থেকে কৈলাস যাত্রার অনুমোদন দেয় চিনা সরকার। চীন অধিকৃত তিব্বতে রয়েছে কৈলাস পর্বত। কথিত আছে, স্বয়ং মহাদেবের বাসস্থান এই কৈলাস পর্বত। কৈলাস পর্বতের অদূরই রয়েছে মানসরোবর। প্রতিবছর বহু তীর্থযাত্রী কৈলাস মানসরোবর যাত্রা করে থাকেন। তবে ২০১৯ সালের পর থেকে কৈলাস যাত্রার অনুমোদন বন্ধ করে দেয় চিন। ২০২৫ সালে ফের একবার কৈলাস যাত্রা অনুমোদন দিতে শুরু করেছে চাইনা সরকার। হিন্দুদের কাছে পরম পবিত্র এই তীর্থযাত্রা। দুর্গম পাহাড়ি রাস্তায় এই তীর্থযাত্রা করা হয় সরকারি নজরদারিতে। অনলাইনে আবেদনের পরে দিল্লি থেকে শারীরিক পরীক্ষা সহ বিভিন্ন নথি পরীক্ষার পর কৈলাস যাত্রার অনুমোদন দেওয়া হয়। ৭০ বছর বয়সী পর্যন্ত এই যাত্রা করতে পারেন।
সেই পবিত্র কৈলাস যাওয়ার প্রথম দল দিল্লি থেকে সিকিমের নাথুলার উদ্দেশ্যে রওনা দিল সোমবার। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এই যাত্রার সংযোগকারী আধিকারিক সঞ্জয় কুমার কোঠারি জানান, এই যাত্রায় মূলত তীর্থযাত্রীদের বয়স্ক থাকেন। তবে তাদের মধ্যে প্রচুর এনার্জি রয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। আইটিবিপির আধিকারিকেরা ও সঙ্গে থাকছেন। তিনি বলেন, আইটিবিপি আধিকারিকেরা আমাদের সাথে যাবেন। রাঁধুনি, চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হয়েছে আইটিবিপির তরফে। এবছর আইটিবিপির সাথে সিকিম ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনও এই যাত্রায় সঙ্গে রয়েছেন। যাঁরা সিকিমের নাথুলা পর্যন্ত যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবেন। নাথুলা ১৮ মাইল এলাকায় যাত্রীদের থাকার জন্য নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দুদিন যাত্রীদের রাখা হবে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। আবার দুদিন পর শেরাথাং নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। তারপর সেখান থেকে কৈলাসের উদ্দেশ্যে রওনা শুরু করবে তীর্থযাত্রীদের দল। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিংহ তামাং পতাকা দেখিয়ে যাত্রার সূচনা করবেন।