Ekchokho.com 🇮🇳

রাতভর বৃষ্টিতে সিকিমের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দুই জায়গায় ধস। ভারী যান চলাচল বন্ধ।

Published on:

রাতভর বৃষ্টিতে সিকিমের লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দুই জায়গায় ধস, বন্ধ ভারী যান চলাচল

পাহাড়ে ধস, উল্টে গেল ট্রাক। পশ্চিমবঙ্গ-সিকিম সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত।

সারা বাংলা ডট ইন ডেস্ক: রাতভর টানা ভারী বৃষ্টিতে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের (NH-10) দুটি জায়গায় ধস নেমেছে। মূলত মল্লি ও লিখু ভীর সংলগ্ন এলাকায় সক্রিয় ধসের কারণে রাস্তার ওপর বড় পাথর ও মাটি পড়ে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি ট্রাক ধসের কবলে পড়ে উল্টে যায় বলে জানা গেছে। ধসের ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ কার্যত স্তব্ধ। নামচি-জোরথাং রোডেও ধসের জেরে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে যান চলাচল। ঘটনাস্থলে বড় মাত্রায় কাদামাটি ও পাথর জমে থাকায় রাস্তা পরিষ্কারে জোরদার উদ্যোগ শুরু করেছে প্রশাসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উদ্ধারকারী দল।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢালে স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়, যার ফলেই এই ধসের ঘটনা। পুরো ঘটনার ফলে আটকে পড়েছেন বহু যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রাকচালকরা। এনএইচ-১০-এ ভ্রমণকারীদের প্রতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরিস্থিতি না স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত যাত্রা এড়িয়ে চলতে এবং বিকল্প পথ ব্যবহার করতে। পথচারি ও চালকদের উদ্দেশে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে— লিখু ভীর ও মল্লি সংলগ্ন এলাকায় পাথর ও ধস পড়ার ঘটনা ক্রমাগত ঘটছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অনুরোধ করা হচ্ছে, এই পথে অপ্রয়োজনীয় যাত্রা স্থগিত রাখুন।

বর্ষার সময় পাহাড়ি এলাকাতে ধস নামার ঘটনা প্রায় সময় ঘটে থাকে। বহু পর্যটক আছেন যারা বর্ষার সময় পাহাড়ে ঘুরতে যান। তবে সিকিম ও সংলগ্ন এলাকায় যেভাবে ধরস নামছে তা চিন্তার কারণ দাঁড়িয়েছে পর্যটকদের। এই সময় মূলত পাহাড়ে যেতে দিচ্ছে করছেন প্রশাসন। সিকিমের এই রাস্তার ধস নতুন করে সমস্যা তৈরি করল যাতায়াতের ক্ষেত্রে। বিগত কয়েকদিন ধরে উত্তরাখন্ড থেকে সিকিম সর্বত্র পাহাড়  ধসের কারণে বহু মানুষ বিপদে পড়েছেন। কয়েকদিন আগে কেদারনাথ যাওয়ার পথে পাথর পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই তীর্থযাত্রীর।