Ekchokho.com 🇮🇳

ঢালাইয়ের একদিনেই ভেঙে গেল রাস্তা! দূর্নীতির অভিযোগ স্থানীয়দের।

Published on:

একদিনেই বসে গেল রাস্তা! দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ স্থানীয়দের।

 

সারা বাংলা ডট ইন ডেস্ক: রবিবার পঞ্চায়েতের তরফে এলাকায় নতুন ঢালাই রাস্তা করা হয়। কিন্তু সেই রাস্তায় ২৪ ঘন্টা না যেতেই বিভিন্ন অংশ বসে যেতে শুরু করেছে। আর এরপরেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাঁকসা পঞ্চায়েতের পালপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ স্থানীয়দের। যদিও কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পালপাড়া বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল তাঁদের এলাকায় একটি নিকাশি নালা এবং পাকা রাস্তার। কারণ এই এলাকাটি বছরে বেশিরভাগ সময় জলমগ্ন হয়ে থাকে। জল কাদার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। রাজ্য সরকার এই এলাকার মানুষদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে পাকা রাস্তার ব্যবস্থা করে। ‌ স্বাভাবিকভাবে আনন্দিত ছিল এলাকার মানুষ।‌ কিন্তু সোমবার দেখা গেল এলাকার মানুষরা এই রাস্তা ঘিরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, ঠিকাদার এলাকার মানুষকে না জানিয়ে রবিবার হঠাৎ করে রাস্তা ঢালাই করে। বাধা দিলে শুনতে হয় হুমকি।‌ সোমবার সেই রাস্তায় বেশিরভাগ অংশই ফাটল ধরে যায়। ‌গ্রামের মানুষরা দেখতে পান ৬ ইঞ্চি ঢালাই এর জায়গায় রাস্তা ঢালাই হয়েছে এক থেকে দেড় ইঞ্চি। এবং যাতায়াত করার আগেই রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। ‌স্বাভাবিকভাবেই এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলছে, একদিনের ঢালাইয়ে রাস্তার যদি এই অবস্থা হয় আগামী দিনে এ রাস্তার পরিণতি কি হবে। পাশাপাশি এই রাস্তা ঘিরে যে চরম দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছেন। ‌এলাকা মানুষদের দাবি, নতুন করে এই রাস্তা তৈরি করতে হবে।

আর এই রাস্তাকে ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। ‌ বিজেপি নেতার রমন শর্মা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা গ্রামের উন্নয়নের জন্য দিয়ে থাকে। কিন্তু সেই টাকা তৃণমূলের কর্মীদের কাছে পৌঁছে যায়। যার জন্যই গ্রামের মানুষদের দুর্ভোগের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ঠিকাদার যদি দুর্নীতি করে থাকে তাহলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং গ্রামে প্রয়োজন হলে নতুন করে রাস্তা তৈরি হবে। ‌ এখন গ্রামের মানুষ পথ চলার ভালো রাস্তা পায়, নাকি সেই দুর্ভোগের মধ্যেই থাকতে হয় সেটাই দেখার বিষয়।