স্বর্ণমন্দিরকে লক্ষ্য করে পাকিস্তান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র!
সারা বাংলা ডেস্ক: স্বর্ণমন্দিরকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়ে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল। তবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় তা ধ্বংস করা হয়। এমনই তথ্য ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি সংবাদসংস্থাকে জানান, স্বর্ণমন্দিরের ওপর হামলা হতে পারে সে আশঙ্কায় আগে থেকেই নিরাপত্তা ছাতায় সেটি ঢেকে ফেলা হয়। ফলে কোনও আঁচড় পর্যন্ত পড়েনি।
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হানায় নিহত হন ২৬ জন পর্যটক। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিরীহ পর্যটকদের ওপর এই হামলা মেনে নিতে পারেনি পুরো ভারতবাসী। পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে ভারতীয় সেনার তরফে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করা হয়। সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই অভিযানে পাকিস্তানের নটি জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি নষ্ট করা হয়। বহু কুখ্যাত জঙ্গি এই হামলায় নিহত হয়। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানের তরফে ড্রোন, মিসাইল হামলা শুরু করা হয় ৮ মে রাতে। সেই হামলায় লক্ষ্য ছিল অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির ধ্বংস করা। এমনকি স্বর্ণমন্দিরকে লক্ষ্য করে মিসাইল ছোঁড়া হয়। কিন্তু ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা নষ্ট হয়ে যায়।
সোমবার সংবাদসংস্থা এএনআইকে মেজর জেনারেল কার্তিক জানিয়েছেন, ভারতের তরফে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের পর একপ্রকার মরিয়া হয়ে ওঠে পাকিস্তান। ভারতের নাগরিকদের ওপর হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠে তারা। ভারতের নাগরিক স্থলের উপর নিশানা করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম যে পাকিস্তানের নির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই। তাই আমাদের ধারণা হয়েছিল ভারতের সেনাঘাঁটি, ধর্মীয় স্থান, নাগরিকদের বাসস্থান এলাকায় পাকিস্তান হামলা চালাতে পারে। সেইমত আমরা স্বর্ণমন্দিরকে আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ছাতায় ঢেকে ফেলেছিলাম।’
তিনি আরও জানান, অপারেশন সিঁদুরের’ প্রতিশোধ নিতে ৮ মে গভীর রাতে পাকিস্তান ড্রোন, মিসাইল হামলা শুরু করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ওই হামলার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত ছিল। সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল এবং প্রত্যেকটি ড্রোন, মিসাইল রুখে দেওয়া হয়েছে। মেজর জেনারেল বলেন, ‘স্বর্ণ মন্দিরকে লক্ষ্য করে যে ড্রোন এবং মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে আমাদের সজাগ সেনাবাহিনী তা রুখে দিয়েছে। একটা আঁচড় পর্যন্ত পড়তে দেয়নি সেনাবাহিনী।’ কিভাবে সেনাবাহিনী পাকিস্তানের হামলা রুখে দিয়েছিল তা ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী তৎপরতায় স্বর্ণ মন্দির সহ বিভিন্ন ধর্মীয় ক্ষেত্র ও নাগরিক স্থলের হামলা রুখে দেওয়া গিয়েছে।