রাজা রঘুবংশী কে খুন করতে দুটো কাটারি ব্যবহার হয়েছিল! ঘটনার তদন্তে জানতে পারল পুলিশ।
সারা বাংলা ডট ইন ডেস্ক: মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে ঝর্ণার নিচের খাদ থেকে উদ্ধার হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা পরিবহন ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর দেহ। সেই ঘটনায় মেঘালয় পুলিশ ইতিমধ্যেই রাজার স্ত্রী সোনম সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এবার পুলিশি তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজাকে খুনে ব্যবহৃত একটি কাটারি আগেই উদ্ধার হয়েছিল। এবার আরও একটি কাটারি উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। সেখানেই দ্বিতীয় কাটারিটি উদ্ধার হয়েছে।
মঙ্গলবার এসআইটির একটি দল ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে। শিলং থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে সোহরা এলাকায় সোনম সহ বাকি অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয়। করা পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে অভিযুক্তদের সেখানে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রাজার উপর প্রথম কাটারি দিয়ে হামলা করে বিশাল। তার আগেও বিশাল চরম আঘাত করে রাজাকে। প্রবল যন্ত্রনার মধ্যে কাতরাতে থাকেন রাজা। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। রাজা চিৎকার শুনেও কোনরকম ভ্রুক্ষেপ করেননি সোনম। বরং সেখান থেকে দূরে পালিয়ে যায় সে। এরপরও বিশাল একের পর এক কোপ মারতে থাকে রাজার উপর। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার মূল আক্রমণ করেছিল বিশাল সিং চৌহান। তবে রাজা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু একের পর এক আঘাতে সে কিছু করে উঠতে পারেনি। এদিন পুরো ঘটনা পুনর্নির্মাণ করা হয়। পুলিশের কাছে পুরো বিষয়টি তুলে ধরে অভিযুক্তরা।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মে ইন্দরের পরিবহন ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর সাথে বিয়ে হয় সোনমের। কিন্তু সনমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল তারই বাবার কাছে কর্মরত রাজ কুশওয়ার। তার সঙ্গে পরিকল্পনা করে রাজাকে খুন করা হয়। মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় যান রাজা ও সোনম। মেঘালয় এলাকায় একটি হোমস্টেতে ছিলেন দুজনে। সেই হোমস্টের কুড়ি কিলোমিটার দূরে একটি খাত থেকে রাজার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বিভিন্ন রকম আশঙ্কার কথা জানায়। তবে উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর থেকে পুনম গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুরো বিষয়টি সামনে চলে আসে পুলিশের। স্বামীকে খুন করার চক্রান্ত ছিল সোনমের। রাজাকে খুন করতে সোনম প্রেমিক রাজের সঙ্গে পরিকল্পনা করে ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করা হয়।