Ekchokho.com 🇮🇳

যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাক। ব্যবহার করা যাচ্ছে না প্রতীক্ষালয়।

Published on:

থেকেও না থাকা বাসস্ট্যান্ডের প্রতীক্ষালয়।

সারা বাংলা ডেস্ক: ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পানাগড় বাইপাসের কাঁকসা মোড়ে প্রতিদিন কলকাতা, বর্ধমান বা আসানসোল, দুর্গাপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া জেলার বাস ধরতে কয়েকশো যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে এই বাস স্ট্যান্ড এলাকায় দুটি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের দাবি ছিল। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে সেই দাবি পূরণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রতীক্ষালয় চালু হওয়ার পর অন্য এক সমস্যায় প্রতীক্ষালয় ব্যবহার করতে পারছেন না যাত্রীরা। অভিযোগ, কলকাতার লেনে প্রতীক্ষালয়ের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকছে সার দিয়ে ট্রাক থেকে ডাম্পার। ফলে বাস এলে তা দেখতে পাচ্ছেন না যাত্রীরা। সেই কারণে বহু যাত্রী খোলা আকাশের নিচে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। এই সমস্যা মেটানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।

এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডে ছিল না কোনও যাত্রী প্রতীক্ষালয়, পানীয় জলের বা শৌচালয়ের ব্যবস্থা। রাজ্য সরকার এই সমস্যার কথা জানতে পেরেই কয়েক মাস আগেই ২৫ লক্ষ টাকা খরচা করে অত্যাধুনিক যাত্রী প্রতীক্ষালয়, শৌচালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা করে।। ‌ যাতে কোনও যাত্রীকে অসুবিধায় পড়তে না হয়। বিশেষ করে অনেক অসুস্থ রোগী আছে যারা বর্ধমান বা কলকাতা চিকিৎসার জন্য এই বাসস্ট্যান্ডে এসে বাস ধরে। ‌ এরকম একটি অত্যাধুনিক বাস ছাউনি পেয়ে যাত্রীরা স্বভাবতই আনন্দিত ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে সমস্যার মধ্যে তাদের বাস ধরতে হতো সেই সমস্যাই রয়ে গিয়েছে। ‌ কারণ যাত্রী প্রতীক্ষালয় থাকলেও যাত্রীদের বাস ধরার জন্য খোলা আকাশের নিচে রোদ জলের মধ্যেই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় বাসের জন্য। ‌

কিন্তু কেন যাত্রীদের এই দুরবস্থা? কারণ এই বাসস্ট্যান্ডের দু’পাশে নো পার্কিং লেখা থাকলেও দেখা যাচ্ছে লাইন দিয়ে আছে একাধিক লরি। ‌ যার জন্য বাস ছাউনিতে দাঁড়িয়ে বাস দেখার কোনও উপায় নেই যাত্রীদের। ‌ সেই কারণেই প্রতীক্ষালয় থাকতেও যাত্রীদের রোদ জলের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বাস ধরতে হয়।‌ বাস যাত্রীরা জানিয়েছেন, বাধ্য হয়ে তাদেরকে বাস ধরতে হয় রাস্তায় দাঁড়িয়ে। বাসের জন্য অপেক্ষারত যাত্রী মহম্মদ ইউনুস, প্রসেনজিৎ সিংহরা বলেন, ‘যাত্রী প্রতীক্ষালয় থাকতেও আমাদের খোলা আকাশের নিচে দাঁড়াতে হচ্ছে। কারণ প্রতীক্ষালয়ের পাশেই সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রাক থেকে ডাম্পার। দূরে বাস এলে দেখতে পাচ্ছি না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’ এ বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, পানাগড় ব্যবসায়ী সমিতিকে জানাবেন যাতে ওই স্থানে গাড়ি না দাঁড়ায়।